তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা , জখম উভয়পক্ষের ১১ জন

5th July 2021 8:14 am বাঁকুড়া
তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা , জখম উভয়পক্ষের ১১ জন


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বাঁকুড়ার সোনামুখী। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মানিক বাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের কাষ্ঠসাজ্ঞা গ্রামে। এদিন দু'পক্ষের মারধোরের ঘটনায় বিজেপির ৭ ও তৃণমূলের ৪ জন গুরুতর আহত। প্রত্যেককেই চিকিৎসার জন্য সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে তাদের দলের সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি কাষ্ঠসাজ্ঞা গ্রামে আসেন। তাঁর উপস্থিথিতিতেই তৃণমূলের তরফে আক্রমণের চেষ্টা করা হলেও তারা সফল হয়নি। পরে তিনি ফিরে যাওয়ার পরই এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা ও দলের বেশ কিছু কর্মীকে ব্যাপক মারধোর করা হয়। যদিও তৃণমূলের তরফে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। 

সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দীবাকর ঘরামি পরে আহতদের দেখতে সোনামুখী গ্রামীণ হাসনাতালে যান। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ঐ গ্রামে তিনি গেলে তৃণমূল কর্মীরা গো ব্যাক আওয়াজ তোলে। তাঁর গাড়িতেও হামলা চালানোর চেষ্টা হলেও সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের সৌজন্যে তিনি বেঁচে যান। পরে তৃণমূল আশ্রিত দূস্কৃতিরা বিজেপি কর্মীদের একজনের বাড়ি ভাঙ্গচুর ও অন্যান্যদের ব্যাপক মারধোর করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

 তৃণমূলের তরফে বিজেপির দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। দলের সোনামুখী ব্লক সভাপতি বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি বিধায়ক প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ। তাই ঐ দলের লোকেরাই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। পরে নিজেরাই মারপিটে জড়িয়ে পড়ে। ঐ ঝামেলা থামাতে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের হাতে তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত। একই সঙ্গে বিজেপি বিধায়ককে তৃণমূল কর্মীরা নিরাপদে গ্রাম থেকে বের করে আনে বলে তিনি দাবি করেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।